টাইমড আউট—এই শব্দ শুনলেই সাকিব আল হাসানের নাম স্মরণ করা হয়। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস যখন ক্রিজে নামতে দেরি করেছিলেন, তখন সাকিব টাইমড আউটের আবেদন করেছিলেন এবং সফলও হন। সেটিই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টাইমড আউট। এরপর থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে বারবার এই টাইমড আউট প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ম্যাচে আবার ফিরে আসে টাইমড আউটের ঘটনা। চিটাগং কিংসের টম ও’কনেলের বিরুদ্ধে টাইমড আউটের আবেদন করে খুলনা টাইগার্স, এবং আম্পায়ারও তাকে আউট দেন। কিন্তু এর পর খুলনা অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ সিদ্ধান্ত পাল্টে ও’কনেলকে ব্যাটিংয়ে ফিরিয়ে আনেন।
ঘটনাটি ঘটে খুলনার ইনিংসের সপ্তম ওভারে। চিটাগংয়ের ২০৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে খুলনা ৫ ওভারের মধ্যে ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারায়। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে আউট হন উসমান খান, এবং পরবর্তী ব্যাটসম্যান হিসেবে নামার কথা ছিল টম ও’কনেলের। কিন্তু ও’কনেল তখনো প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি ছয়ে নামার কথা, কিন্তু ছয় নম্বরে নামেন হায়দার আলী।
বিপত্তি ঘটে সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই, যখন হায়দার আলী আউট হয়ে যান। এবার ও’কনেলকে মাঠে নামতেই হবে, কিন্তু তিনি তখনো প্রস্তুত ছিলেন না। দ্রুত মাঠে প্রবেশ করতে গিয়ে তার সময় পার হয়ে যায়। তখনই মিরাজ আম্পায়ারের কাছে টাইমড আউটের আবেদন করেন। আম্পায়ারও সেই আবেদন মেনে ও’কনেলকে আউট ঘোষণা করেন। তবে, ও’কনেল যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, মিরাজ তাকে ডেকে ফেরান।
কিন্তু পরের বলেই মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হন ও’কনেল। শেষ পর্যন্ত খুলনা ৩৭ রানে হেরে যায়।
ম্যাচ শেষে মিথুন বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি মিরাজ দারুণ কাজ করেছে। দেখিয়েছে যে ওর মনটা অনেক বড়।" তিনি আরও বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী, ও’কনেলকে আউট হওয়া উচিত ছিল, তবে মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হয় তার উদারতায়।"
এদিকে, মিথুন ও’কনেলের দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, "ব্যাটারের উচিত দ্রুত প্রস্তুত হওয়া, বিশেষত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। হয়তো সে ভাবেনি এত দ্রুত উইকেট পড়বে, সে কারণে দেরি হয়েছে।"